চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::::
চট্টগ্রামে হাটহাজারিতে জঙ্গী অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ সংগঠনের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে র্যাব। এ মামলার চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ৮৩ জনকে। এছাড়া হামজা ব্রিগেডের বড় ভাই আল্লামা লিবদিসহ ৫৩ জনের নাম থাকলেও ঠিকানাবিহীন ভাবে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন ও অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপনসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আইনজীবী লিটন ও বাপন জামিনে আছেন।
রোববার বেলা সোয়া ১২টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মশিয়ার রহমানের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তারী কর্মকর্তা র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক রুহুল আমীন।
তিনি জানান, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারাজানা, দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন ও অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপনসহ ৩৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেরুয়ারি হাটহাজারী এলাকায় ‘আল মাদরাসাতুল আবু বকর’ নামে একটি কওমি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটিকে হামজা ব্রিগেডের তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে সংস্থাটি। এরপর ২১ ফেরুয়ারি বাঁঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনি পাহাড়ে শহীদ হামজা ব্রিগেডের একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে র্যাব-৭। এসময় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাশঁখালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে ৩ আইনজীবীর নাম এলে ১৮ আগস্ট তাদেও গ্রেফতার করা হয়।
গত বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও অ্যাডভোকেট মো. হাসানুজ্জামান লিটন এবং ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ৫ সেপ্টেম্বর জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে রাজধানীর টঙ্গির তুরাগ এলাকা থেকে গোল্ডেন টাচ অ্যাপারেলসের পরিচালক এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিন আইনজীবী আদালতে দুই দফা জবানবন্দি দিলেও তারাও সরাসরি জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়টি স্বীকার না করে মক্কেলের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
পাঠকের মতামত: